বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের পর অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় ছিল। ১৯৫২ ‘র ভাষা আন্দোলন পূর্ব বাংলায় জাগরণের সূত্রপাত হয়। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন তুমুল আত্ববিশ্বাসের জন্ম নেয়। ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯ সালে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘‘বাংলাদেশ” নামক রাষ্ট্রের নামকরণ করেন। নানা ঘাত প্রতিঘাতে এবং বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতার মহান স্হপতি, এদেশের অভ্যুদয়ের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর একটি লাল সবুজের পতাকা খচিত স্বাধীন দেশের আর্বিভাব হয়।
কোন জাতিকে উন্নত বা সমৃদ্ধ করতে চাইলে প্রথমে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত/ভিত্তি শক্ত করতে হবে। পৃথিবীর সব দেশই প্রাথমিক শিক্ষাকে সোপান ধরে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠিত হলে এতে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষাস্তর করা হয়। স্বাধীনতারোত্তর ২৬ অক্টোবর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু ৩৬,১৬৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারি করেন, যা যুগান্তকারী সিন্ধান্ত ছিল। সোনার বাংলা গড়ার লক্ষে প্রথমেই প্রাথমিক শিক্ষায় হাত দেন তৎকালীন সরকার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য ১৯৭২ সালে গৃহিত সংবিধানে সর্বজনীন শিক্ষা প্রবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। ৭৫ পরবর্তী প্রাথমিক শিক্ষায় ভাটা পড়ে।
১৯৮৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা আইন প্রবর্তিত হলে ৪৮২ টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং প্রতি উপজেলায় ৬-৮ টি সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদ প্রবর্তন করা হয়। নব্বইয়ের দশকে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়। ২০০২ সালে প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি প্রকল্প চালু হয় এবং ২০১৮ সালে তা শতভাগ শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়। এ শিক্ষার গুরুত্বারোপ করে ২০০৩ সালের ২ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা নামে পূর্ণ মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। ২০০৫ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে বা মহল্লায় একটি করে পূর্ণাঙ্গ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয় এবং বর্তমানে তা আরো বেগবান ও কার্যকর করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ৯ জানুয়ারি ২০১৩ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬,১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারি করেন।
প্রত্যেক দেশেই জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং আদর্শের প্রতিফলন ঘটে প্রাথমিক শিক্ষায়। প্রাথমিক শিক্ষা যে দেশে যত সুষ্ঠুভাবে দেয়া হয় সে দেশ তত বেশি উন্নত। প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তিভূমি দুর্বল হলে ব্যক্তির জীবনে তো বটেই, জাতীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপরও তার ক্ষতিকর প্রভাব অপরিসীম।
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব:
আমাদের জাতীয় জীবনের সকল সমস্যা, সংকট ও দুর্দশার মূল উৎস নিরক্ষরতা। এক্ষেত্রে নিরক্ষতাকে দূরীভূত না করে অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণ বা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ বা প্রচেষ্ঠা তা গাছের গোড়া কেটে উপরিভাগে পানি দেয়া বা তলাবিহীন পাত্রে পানি ঢেলে সেটিকে পানি দ্বারা ভর্তি করার ব্যর্থ প্রচেষ্ঠার শামিল।
শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার।মানুষের পূর্ণরুপে মানুষ হয়ে ওঠার প্রধানতম অবলম্বন শিক্ষা। কাজেই প্রাথমিক স্তরের শিক্ষালাভের সুযোগ প্রতিটি শিশুকেই দিতে হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে উনিশ শতকের শেষ ভাগ থেকে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের উদ্যোগ শুরু হয়।বিশ্বে আজ যারা উন্নত জাতি হিসেবে পরিগণিত, তারা শিক্ষা বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক, সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করেই তাদের গৌরবময় আসন দখল করেছেন। দারিদ্র, বেকারত্ব, ক্ষয়িষ্ণু সামাজিক মূল্যবোধ, নিরক্ষরতা প্রভূতি নানাবিধ সমস্যায় এখনো জর্জরিত। এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এবং জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে শিক্ষাব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করার পূর্বশর্ত হিসেবে অন্যান্য মৌলিক সমস্যা সমাধানের আশু প্রয়োজন। একটি অনুকূল পরিবেশ ব্যতীত ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া সম্ভব নয়। তাই ধীরে ধীরে এবং ক্রমাগতভাবে ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্য একটি স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্ঠি করার লক্ষ্যে আপ্রাণ প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যেতে হবে এবং এ কাজে শুধু সরকার নয় দেশের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে।
বর্তমানে সরকারি বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বছরের প্রথমদিনই বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, বিভিন্ন প্রকল্পে উন্নত ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাতক পাস শিক্ষক নিয়োগ, সকল বিদ্যালয়ে বিদ্যুায়ন, ল্যাবটপ মাল্টিমিডিয়া প্রদান, কার্যকর সাবক্লাস্টার প্রশিক্ষণ প্রদান, ১২ দিন ব্যাপি শিক্ষকদের আইসিটি প্রশিক্ষণ, বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, প্রধান শিক্ষকদের ২১ দিনব্যাপি লিডারশীপ প্রশিক্ষণ, নব নিয়োগকৃতদের ১০দিনব্যাপি প্রারম্ভিক প্রশিক্ষণ, শিক্ষাক্রম বিস্তৃরণ প্রশিক্ষণ, ৯৩ টি উপজেলায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম প্রদান, মিড ডে মিল চালুকরণ, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ এবং তাতে শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণে আলাদা বরাদ্দ প্রদান, বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার (স্লিপ) বরাদ্দ, স্কুলভিত্তিক অন্যান্য বরাদ্দ, ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চালুকরণ ও জিপিএ পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ, এসএমসি’র সভাপতি স্বাতক পাস প্রবর্তন, ই-মনিটরিং পরিদর্শন, সকল কর্মকর্তাকে পিসি ট্যাবলেট ও নতুন মোটর সাইকেল প্রদান ইত্যাদি। সর্বোপরি একজন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমাপ্ত করার অপার সুযোগ। বর্ণিতাস্থায় প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রাথমিক শিক্ষার উপযোগিতা:
প্রাথমিক শিক্ষা শুধু প্রতিটি শিশুর মানবিক গুণাবলি অর্জনের জন্যই প্রয়োজন নয়, প্রাথমিক শিক্ষা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্যও আবশ্যকীয় পূর্বশর্ত। প্রাথমিক শিক্ষা শুধু মানুষকে সাক্ষরতা এবং ভাষা ও গণিতের দক্ষতা দেয় না, সেই সঙ্গে তার বিচারবুদ্ধির বিকাশ সাধন করে, মাঠে-ময়দানে, কল- কারখানায় কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ায়, মানুষকে উদ্যমশীল করে এবং জীবনের নানা মৌলিক চাহিদা যথা- পুষ্ঠি, আশ্রয়, পোশাক, স্বাস্থ্য এসব মেটাবার সক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। বিশ্ব ব্যাংকের সমীক্ষায়- প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন ব্যক্তির আয়, প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত নন এমন একজন ব্যক্তির তুলনায় ৫২.৬ শতাংশ বেশি। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন নারীর আয় বৃদ্ধির পরিমাণ ৯২.২৫ শতাংশ। কাজেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও প্রাথমিক শিক্ষার উপযোগিতা সবচেয়ে বেশি।গুরুত্ব ও উপযোগিতায় দিন দিন প্রাথমিকে শিশু ভর্তির বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোনো দেশে নিরক্ষরতার উৎসমূল হচ্ছে সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচির অনুপস্থিতি বা ব্যর্থতা। অর্থ্যাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী ৬+ থেকে ১০+ বয়সের সকল ছেলেমেয়েকে স্কুলে ভর্তি করা (Enrollment) তাদের ধরে রাখা (Retention)
এবং প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমাপ্ত করার (Completion) কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন না হলে প্রতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুরা নিরক্ষর থেকে যায় এবং ক্রমাগত নিরক্ষর জনগোষ্ঠির সাথে যুক্ত হয়। এতে কতিপয় সমস্যা প্রণিধানযোগ্য:-
১। গ্রামীণ স্কুলগুলো শিক্ষকের সংকট।
২। বেশিরভাগ বিদ্যালয় জরাজীর্ণ ভবন।
৩। পড়ানোর প্রতি শিক্ষকদের উদাসীনতা।
৪। বিদ্যালয়ের প্রতি আন্তরিকতার অভাব।
৫। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রয়োগের কোন আগ্রহ বা ব্যবস্থা নেই।
৬। বর্ণ/শব্দ চিনানো ক্ষেত্রে বা শব্দ গঠনে অপারগতা/উদাসীনতা।
৭। ইংরেজি ভাষার প্রতি অনীহা।
৮। প্রথম শ্রেণিতে বিদেশীর ভাষার প্রয়োগ।
৯। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি রিডিং পড়তে না পারা।
১০। প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসা শিক্ষার সমন্বয় সাধনের অভাব।
১১। ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের বড়ই অভাব।
১২। প্রশিক্ষণগুলো কেবলই নামসর্বস্ব।
১৩। অধিকাংশ বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক অন্তত একবারো তাদের নিজেদের শ্রেণির বই/পাঠ্যবই রিডিং পড়েনি। নিজের সন্তান সেই শ্রেণি
বা বিদ্যালয়ে পড়লে এটির ব্যতিক্রম ঘটে।
১৪। শতভাগ উপবৃত্তি, ফিডিং কার্যক্রম চালু সত্ত্বেও গড় উপস্থিতি ৬০-৭০ শতাংশ।
১৫। শিক্ষকগণ পেশাগত দক্ষতাবৃদ্ধিতে নিস্পৃহ, মূলত ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য কাজে বেশি লিপ্ত।
১৬। চরাঞ্চল ও গ্রামে শিক্ষকগণের থাকার ব্যবস্থা অপ্রতুল বিধায় স্কুলগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম সময়মত শুরু শেষ হয় না।
১৭। অধিকাংশ এসএমসি ও পিটিএ রাজনৈতিক নিয়োগ তাই শিক্ষার প্রতি কোন অঙ্গীকার নেই।
১৮। মূলত স্কুলগুলো কো-কারিকুলাম নির্ভর হয়েছে সেক্ষেত্রে একাডেমিক কার্যক্রম অপ্রতুল।
১৯। নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে গৃহীত পরিকল্পনা ও কর্মপন্হা যুক্তিযুক্ত ও বাস্তবধর্মী হয় না।
২০। শিক্ষকদের নিজের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসের ঘাটতি।
২১। বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশের অভাব।
২২। শিক্ষকের আন্তরিকতা ও ভালোবাসার অভাব।
২৩। শিখন পরিবেশ আকর্ষণীয় না হওয়া।
২৪। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতি।
২৫। অভিভাবকদের বাসস্থানের পরিবর্তন, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকা।
২৬। বিদ্যালয়ের দূরত্ব ও প্রাকৃতিক বাঁধা, এসব কারণে শিশুরা নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন না করা।
প্রাথমিকে শিশু ঝরে পড়ার কারণ:
বিদ্যালয় ত্যাগ করার নানা কারণ রয়েছে। তার মধ্যে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ অন্যতম। বিবাহ বিচ্ছেদ, পিতা মাতার দম্পাত্য কলহ, পুত্র সন্তানদের কাজে লাগানো, চরাঞ্চলে বাল্য বিবাহ, নদী ভাঙ্গন, ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী বেশি, অভিভাবকদের দারিদ্রতা, শিক্ষার ব্যয়ভার ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব, সামাজিক মূল্যাবোধের অবক্ষয়। এছাড়া রয়েছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও অবস্থানগত কারণ।স্কুলে যাওয়ার চেয়ে কাজে বেশি লাভ। বর্তমানে প্রায় ২০ শতাংশ শিশু প্রাথমিকে ঝরে পড়ে।
প্রাথমিকে শিশু ঝরে পড়ারোধে করণীয়:
শিক্ষার্থী ঝরে পড়ারোধের জন্য শিক্ষকগণকে অভিভাবকদের প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। তাদের বুঝতে হবে শিক্ষার অভাবে তাদের সন্তানরা কিভাবে পদে পদে শোষণের শিকার হয়। তাদের বুঝতে হবে লেখাপড়া কিভাবে তাদের সন্তানদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করতে পারে। অভিভাবকগণ যদি বুঝে শিক্ষা সন্তানদের জীবনে কিভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনবে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে তাহলে তারা সন্তানদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহী হবে। একাজে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করলে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে।
দারিদ্র পীড়িত ও নিরক্ষর পরিবার থেকে আগত শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। স্কুলের পরিবেশ আকর্ষণীয় ও আনন্দময় করে তুলতে হবে, যেন শিশুরা বিদ্যালয়ে প্রতি আগ্রহী হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাধুলার ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদার করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষকের মমত্ববোধ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। শারীরিক ও মানসিক শাস্তি সম্পূর্ণরুপে পরিহার করতে হবে।যথাযথ উপকরণের সাহায্যে আন্তরিকতা সাথে পাঠদান করতে হবে, যেন শিশু সহজেই পাঠের প্রতি আকৃষ্ট হয়। শিশুর সৃজনশীল চিন্তা ও দক্ষতা প্রসারের জন্য ফলপ্রসূ শিক্ষাদান পদ্ধতি কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।
শিশুদের স্ব স্ব শ্রেণির নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জনে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আন্তরিকতার সাথে শিক্ষকের পাঠদান অত্যন্ত জরুরি। এতে শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়বে, ভীতি দূর হবে এবং ঝরে পড়া উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমবে।
ঝরে পড়ারোধে গৃহিত পদক্ষেপ:
১) ক্যাচমেন্ট এলাকাভিত্তিক শিশু জরিপপূর্বক ভর্তি নিশ্চিতকরণ।
২) নিয়মিত মা/অভিভাবক সমাবেশের ব্যবস্থাকরণ।
৩) উঠান বৈঠক ও হোম ভিজিট কার্যক্রম জোরদারকরণ।
৪) বছরের প্রথমদিন বিনামূল্যে বই বিতরণ।
৫) স্কুল ফিডিং কার্যক্রম আরো বেগবান করা।
৬) শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
৭) সারোদেশে মিড ডে মিল চালুকরণ।
৮) একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম চালু।
৯) প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা হয়েছে।
১০) প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ হয়।
১১) স্থানীয় জনগণকে বিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে অংশীদার করা।
প্রাথমিকে শিশু শতভাগ ভর্তি ও ঝরে পড়ারোধে এসএমসি ও স্থানীয় কমিউনিটি বর্ণিত কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারে, যা স্থানীয় কার্যক্রমই শ্রেষ্ঠ গৃহিত ব্যবস্থা/পদক্ষেপ:
১) প্রতি মাসের সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন:
ক) নির্ধারিত সময়ে ক্যাচমেন্ট এলাকার শিশু জরিপ কাজ নিশ্চিতকরণ।
খ) জরিপকৃত সকল ভর্তিযোগ্য শিশুর ভর্তি নিশ্চিতকরণ।
গ) সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যালয় নির্মাণ ও সংস্কার কাজ তদারকির মাধ্যমে যথাযথ মান নিশ্চিতকরণ।
ঘ) স্থানীয় উদ্যোগে বিদ্যালয় মেরামত, রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন।
ঙ) ক্রীড়া, কাবিং ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড জোরদারকরণে পদক্ষেপ গ্রহণ।
চ) শিক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ, ব্যবহার ও সংরক্ষণ।
ছ) শিক্ষকদের নিয়মিত ও সময়মত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ।
জ) শিশুদের ভর্তি ও উপস্থিতির হার বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকদের উদ্ধুদ্ধকরণ।
ঝ) শিশুদের ৫ বছর শিক্ষা সমাপন নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ।
ঞ) নিয়মিত সাব ক্লাস্টার প্রশিক্ষণ আয়োজনে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান।
২। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ:
ক) ক্রীড়া অনুষ্ঠান।
খ) সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী সভা।
গ) জাতীয় দিবস উদযাপন।
ঘ) বৃক্ষরোপন অভিযান।
ঙ) মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ।
চ) সাইন বোর্ড তৈরি ও যথাস্থানে স্থাপন।
ছ) মনিটরিং বোর্ড তৈরি ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
জ) শিক্ষা সপ্তাহ পালন জোরদারকরণ।
ঝ) লাইব্রেরী স্থাপন, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ।
৩। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা:
ক) উপবৃত্তি সুষ্ঠু ও সঠিক তালিকা প্রণয়ন এবং বিতরণ
খ) বিদ্যালয় গৃহ ও সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তাকরণ।
গ) প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে শিশুদের বিদ্যালয়ে প্রেরণে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণ।
ঘ) শিশুদের টিকাদান ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্যাপারে উৎসাহিত করা।
ঙ) বিদ্যালয় এলাকার বাইরে থেকে আগত শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থাকরণ।
চ) বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা হলে স্থানীয়ভাবে (প্যারা) শিক্ষক নিয়োগ করা।
৪। বিদ্যালয় পরিবেশ আকর্ষণীয়করণে অংশগ্রহণ:
ক) টিউবওয়েল স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ।
খ) টয়লেট স্থাপন ও নিয়মিতভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা।
গ) ফুলের বাগান/ঔষধি বাগান তৈরি ও সংরক্ষণ।
ঘ) দেয়ালে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব/কবি সাহিত্যিকদের ছবি টানানো।
ঙ) সবজি বাগান তৈরি ও সবজি উৎপাদন।
চ) খেলার মাঠের উন্নয়ন।
ছ) বৃক্ষরোপন ও সংরক্ষণ।
জ) বিদ্যালয়ের নাম ফলক ও বেদিসহ পতাকা দন্ড তৈরিকরণ।
ঝ) বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ওয়াল তৈরিতে সহায়তা প্রদান।
৫। পূর্ত কাজে সহযোগিতা:
ক) বিদ্যালয়ের মাঠে মাটি ভরাটকরণ ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন।
খ) বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর পাকা করে তৈরিকরণ।
গ) বাড়তি শ্রেণিকক্ষ তৈরিকরণ।
৬। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন:
ক) বিদ্যালয়ের সময়সূচির বাইরে বিশেষ পাঠদানের ব্যবস্থাকরণ। এক্ষেত্রে সমাপনী পরীক্ষার্থীদের জন্য হতে পারে।
খ) জিপিএ ও বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান।
গ) লেখাপড়ায় উৎসাহ প্রদানের জন্য গরীব ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মেধার স্বীকৃতির জন্য পুরস্কার
প্রদানের ব্যবস্থাকরণ।
ঘ) সাময়িক পরীক্ষাগুলোতে বিশেষ প্রাণোদনা/পুরস্কার প্রদান।
ঙ) গরীব মেধাবীদের খাতা, কলম, পেন্সিল ও স্কুল ইউনিফর্ম ইত্যাদি ব্যবস্থাকরণ।
চ) শিক্ষকদের সৃজনশীল উদ্ভাবনী, বিশেষ জিনিস তৈরি ও দৃষ্টি নন্দন কাজের জন্য পুরস্কৃত করা।
৭। সমাজ উদ্বুদ্ধকরণ:
ক) প্রতিমাসে অন্তত একবার মা/অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা।
খ) ত্রৈমাসিক শিক্ষক অভিভাবক সমিতির সভা করা।
গ) শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা, মেধাবীদের সংবর্ধনা, সেরা মা/অভিভাবক নির্বাচন করা।
ঘ) বিভিন্ন ছুটির কারণে শিক্ষক সংকট হলে স্বেচ্ছাসেবী দল/খন্ডকালীন শিক্ষক/সাবেক শিক্ষার্থী ইত্যাদি দ্বারা পাঠদান করানো।
ঙ) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য মিড ডে মিল ব্যবস্থা/চালুকরণ।
চ) বদলি ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের শুভেচ্ছা স্মারক ও বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা।
বিদ্যালয়ের তথ্য সংরক্ষণ:
০৩/০৫ বছরের শিক্ষাচক্র সমাপ্ত তথ্যাবলি যাচাই বাচাই ও সংরক্ষণ করা।
সমাপ্তিরসাল | ১ম শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী | ৫ম শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ | অন্য বিদ্যালয়ে গমন | পুনরাবৃত্ত ছাত্রছাত্রী | ঝরে পড়া ছাত্রছাত্রী | ঝরে পড়ার হার | মন্তব্য |
কতিপয় সুপারিশ:
১। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটি এট্রিপদ বিবেচনা করে প্রাথমিক শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিসের আওতায় আনয়ন।
২। পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ প্রবর্তন এবং নিয়মিত পদোন্নতিসহ প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক পদ যথাক্রমে ১০তম এবং
১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন।শিক্ষকের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
৩। উন্নত ভৌত অবকাঠামো ও স্কুল ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন এবং কার্যকর পরিদর্শন।
৪। ভর্তিতে ভারসাম্য রক্ষা করা অর্থ্যাৎ ক্যাচমেন্ট নির্ধারণপূর্বক ভর্তি নিশ্চিতকরণ।
৫। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
প্রশ্নমালা (শিক্ষকদের জন্য)
১। আপনি একজন প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে আপনার দায়িত্ব কর্তব্য কিরুপ?
২। শতভাগ শিশু ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কর্তব্য কী?
৩। ৬+ থেকে ১০+ বয়সী শিশুর ভর্তিতে বাধাসমূহ কী কী?
৪। শতভাগ শিশু ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ কী কী?
৫। শিশুর নৈতিক মূল্যবোধ ও আচরণিক পরিবর্তনে আপনার ভূমিকা কী?
৬। ৬+ থেকে ১০+ বয়সী শিশু ঝরে পড়ার কারণ কী কী?
৭। ঝরে পড়া রোধে একজন শিক্ষকের করণীয় কি?
৮। আদর্শ পাঠদানের ফলে ঝরে পড়া কতটা রোধ করা সম্ভব? হ্যাঁ/না
৯। সামাজিক দৃষ্ঠিভঙ্গির পরিবর্তন শতভাগ শিশু ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে কতটা ভূমিকা রাখতে পারে?
১০। ঝরে পড়া রোধে ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত?
১১। প্রতিবছর প্রায় ১৮ শতাংশ শিশু ঝরে পড়ে এর প্রধানতম কারণ কী?
১২। স্কুলের পরিবেশ কেমন হলে ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে বলে আপনি মনে করেন?
১৩। শিক্ষকের পাঠদান সফল হলে কী ঝরে পড়া কমে যাবে?
১৪। স্কুল আকর্ষণীয় হলে, ভর্তির হার বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে কী আপনি মনে করেন?
১৫। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হলে ঝরে পড়তে পারে বলে কী আপনি করেন?
১৬। স্কুলের পরিবেশ ও পরিবারের পরিবেশে পার্থক্য হলে ঝরে পড়ার আশাংকা রয়েছে বলে মনে করেন কী?
১৭। সফল শিক্ষক তো সফল বিদ্যালয়, এক্ষেত্রে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়ারোধে প্রধান/সহকারি শিক্ষকদের গৃহীত কাজসমূহ কী কী?
১৮। চরাঞ্চল ও গ্রামে অবস্থিত স্কুলগুলোতে উল্লেখিত দুইটি সমস্যা প্রকট,এ ব্যাপারে আপনার মতামত?
১৯। অধিকাংশ এসএমসি ও পিটিএ রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ তাই শিক্ষার প্রতি কোন অঙ্গীকার নেই- আপনার বক্তব্য?
২০। সর্বোপরি স্কুল সংশ্লিষ্ঠদের আন্তরিকতার বড়ই অভাব ভর্তির হার শতভাগ না হওয়া এবং ঝরে পড়ারোধে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন না হওয়া; বক্তব্যটির সাথে কি আপনি একমত?
প্রশ্নমালা (এসএমসি’র জন্য)
১। ক্যাচমেণ্ট এলাকার ৬+ থেকে ১০+ বছর বয়সী শতভাগ শিশু ভর্তি কতটা জুরুরি?
২। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু জরিপ অনুযায়ী শতভাগ শিশু ভর্তিতে এসএমসি’র ভূমিকা কী?
৩। শতভাগ শিশু ভর্তিতে কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। যেমন:
৪। শিশু ভর্তিতে স্কুলের অবকাঠামো তৈরি, টয়লেট মেরামত ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করণে এসএমসি’র ভূমিকা শীর্ষ কার্য কী?
৫। স্কুলের প্রতিটি উৎসবে এসএমসি’র সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে কী শিশু ভর্তির হার বৃদ্ধি ও ঝরে পড়ারোধ হয় আপনি কী মনে করেন?
৬। শিখন শেখানো কাজে এসএমসি কতটা ভূমিকা রাখে?
৭।শতভাগ শিশু ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে এসএমসি কিরুপ ভূমিকা পালন করে?
৮। ঝরে পড়ারোধে এসএমসি কী কী কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পাদন করে থাকে বলে আপনি মনে করেন?
৯। সফল বিদ্যালয় বাস্তবায়ন ও ঝরে পড়ারোধে এসএমসি’র প্রতিটি সদস্যের কার্যকর ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য- আপনার মতামত?
১০। শতভাগ ভর্তি নিশ্চিতকরণ ও ঝরে পড়ারোধে অন্যতম প্রধান কাজ স্কুলকে আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো।
সাজানো কাজগুলো:
উপসংহার:
প্রাথমিক শিক্ষা উন্নত তো দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ। স্বাধীনতা পরবর্তী প্রাথমিক শিক্ষায় অভূতপূর্ব সাফল্য ও কার্যকর কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ণিত প্রশ্নমালার প্রকৃত সমাধান, যথাযথ কারণ উদঘাটনপূর্বক বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সুপারিশসমূহ পর্যালোচনা করে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রাথমিক শিক্ষায় আরো চিন্তা, মনোযোগ ও আন্তরিকভাবে কাজ করা একান্ত প্রয়োজন। সবার সম্মেলিত প্রয়াস ও সহযোগিতা প্রাথমিক শিক্ষা সামনে এগিয়ে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বি.দ্র. পোরশা, নওগাঁ; কলাপাড়া, পটুয়াখালী; চরফ্যাসন, ভোলা, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- কর্মস্থলের অভিজ্ঞতার আলোকে রচিত।
লেখক: সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
Leave a Reply